হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, হাওজা ইলমিয়া ইসফাহানের গবেষণা–বিষয়ক তত্ত্বাবধায়ক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মোহসেন জালালি ইসফাহানের মাদরাসা আলমিয়া সাহিবুল আমর–এ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন: গবেষণাই সেই পথ যার মাধ্যমে হাওজা যুগের পরিবর্তন, সময়ের প্রশ্ন এবং ইসলামী বিপ্লবের প্রয়োজনীয়তার উত্তর দিতে সক্ষম।
বক্তৃতার শুরুতে তিনি হযরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.)–এর শাহাদাতের বার্ষিকীতে সমবেদনা প্রকাশ করে বলেন: এই দিনগুলো তাওাসসুল (আধ্যাত্মিক আশ্রয় গ্রহণ) এবং ফাতিমীয় শিক্ষার প্রসারের জন্য বিশেষ সুযোগ। আমাদের সকলের উচিত তাঁর নূরানিয়াত এবং পবিত্র সত্তা থেকে যতদূর সম্ভব উপকৃত হওয়া।
হুজ্জাতুল ইসলাম জালালি হাওজাভিত্তিক গবেষণার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন: গবেষণা হলো সময়ের চাহিদা ও ইসলামি ব্যবস্থার প্রশ্নগুলোর উপযুক্ত উত্তর। হাওজা অধ্যয়ন, নবত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টা এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ জ্ঞানমূলক গ্রন্থ প্রণয়নের মাধ্যমে সমাজের জ্ঞানগত ও বৌদ্ধিক প্রয়োজন মেটাবে।
হাওজা ইলমিয়া ইসফাহানের গবেষণা–বিষয়ক তত্ত্বাবধায়ক আরও বলেন: হাওজা ইলমিয়া কুম–এর শতবর্ষ পূর্তিতে ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা যে বার্তা দিয়েছেন, সেটি হাওজার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। সেখানে উল্লেখিত বিষয়গুলো—যেমন “সভ্যতাগত ফিকহ”, “সামাজিক দৃষ্টিকোণসম্পন্ন দর্শন রচনা” এবং “ইসলামী সভ্যতার নির্মাণ”—এসবই অত্যন্ত গভীর ও বিস্তৃত গবেষণা দাবি করে। এবং রাহবর মুআজ্জাম ইনকিলাবের এই দাবিসমূহ পূরণের মূল ভিত্তি হলো “হাওজাভিত্তিক গবেষণা”।
তিনি সর্বোচ্চ নেতার অধ্যয়ন–অনুরাগের দিকেও ইশারা করে বলেন: সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধের মতো কঠিন পরিস্থিতিতেও তাঁর অধ্যয়ন বন্ধ হয়নি। এই প্রবণতাই তাঁর নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনার ভিত্তি। তিনি প্রচারক ও ছাত্রদের বিশেষ করে আয়াম–এ–ফাতিমিয়ার মতো দিনগুলোতে সুনিয়মিত অধ্যয়নের পরামর্শ দেন, যাতে সঠিক ফাতিমীয় শিক্ষাগুলো সমাজে পৌঁছানো যায়।
আপনার কমেন্ট